পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে প্রশাসন বলছে, ৭-৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে অগ্নিকাণ্ডে।
অগ্নিকাণ্ডে বইসহ বিভিন্ন জিসিন পুড়ে ছাই হলেও পবিত্র কুরআন শরীফ অক্ষত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩টার দিকে লাইব্রেরির পেছনের দিকে প্রথমে ধোঁয়া দেখা যায়। পরে মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া, ভাণ্ডারিয়া ও বামনার মোট ৪টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার সূত্রপাত নিশ্চিত হতে না পারলেও একটি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান-পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জনকে সাড়ে ৭ হাজার এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৩ জন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার করে টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক, অতিরিক্ত পুরিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহামম্মদ ইব্রাহীম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহেল আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, সহ-সভাপতি আরিফ উল হক, জেলা পরিষদ সদস্য আজীম উল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল আলম ঝনো, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মনি ও স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুর রহমান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া দোকানের ছবিসহ আবেদন করলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও অর্থিক সহায়তা করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও বাজারের সাবিক পরিস্থিতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।